শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৯ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক, আমলাদের নয় বলে মন্তব্য করেছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান। বৃহস্পতিবার ‘জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি: ভবিষ্যৎ প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। জ্বালানি খাত নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন এফইআরবি (ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ) অন লাইনে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে আনিছুর রহমান বলেন, আমলারা এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। ছয় মাস অপেক্ষা করেই দাম সমন্বয় করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসির) উদ্বৃত্ত আয় সরকার না নিলে আরও ছয় মাস অপেক্ষা করা যেত। উদ্বৃত্ত আয়ের ১০ হাজার কোটি টাকা গত দুই বছরে নিয়ে গেছে সরকার।
তিনি বলেন, অর্থনীতিতে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কিন্তু বিপিসির হাতে অর্থ ছিল না। আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সরবরাহ ঠিক রাখতে হলে চাইলেই দাম কমানো যায় না। বিশ্ববাজারে দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে দেশে সমন্বয় করা হবে। তবে তেলের দাম কমানোর পর পরিবহন ভাড়া কমবে কি না, সেই নিশ্চয়তা জ্বালানি বিভাগ দিতে পারবে না। পেট্রল ও অকটেনের আপাতত দাম বাড়ানোর কোনো চিন্তা নেই বলেও জানান তিনি।
এফইআরবির চেয়ারম্যান অরুণ কর্মকারের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী পরিচালক শামীম জাহাঙ্গীরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেনসেমিনারে বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইজাজ হোসেন, ক্যাবের জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা শামসুল আলম, সিপিডির গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি এ কে এম হাতেম, তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক চৌধুরী প্রমুখ।